আজকের টপিক – উইন্ডোজ ব্যাকআপ! আপনি চিন্তা করছেন ইস, যদি আমার বর্তমান সিস্টেম সেভ করে রাখা যেত, যেন পরবর্তীতে কোণ কারনে উইন্ডোজ সিস্টেমে ইরোর হলে, সব কিছু আগের মত Restore করে নেওয়া যায়।
পেনড্রাইভ দিয়ে উইন্ডোজ সেটাপ কিভাবে দিবেনঃ বিস্তারিত এখান থেকে জানুন!
হ্যা, আজকের টপিক, উইন্ডোজ ব্যাকআপ কেন রাখবেন এবং কিভাবে রাখবেন?
প্রথমে আমরা উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যাকআপ রাখার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জানব –
আপনি যখন উইন্ডোজ সেটাপ দেন, তখন অনেক সময় নিয়ে পুরো সিস্টেম টাকে সাজান, এমনকি অনেকের এক সপ্তাহর সময় লেগে যায় নিজেদের পছন্দ মত ডেস্কটপ সাজাতে।
আপনি অনেক দিন ধরে একটা সিস্টেমে কাজ করার পর অনেক গুরুত্বপূর্ন কিছু সফটওয়্যার ইনস্টল, ডেসটপে অনেক সময় প্রয়োজনীয় ফাইল জমে থাকে। এখন হঠাৎ করে অপারেটিং সিস্টেম কোন কারনে ইরোর হলে, আবার নতুন করে উইন্ডোজ সেটাপ দিতে হবে, আবার প্রয়জনীয় সব সফটওয়্যার ইনস্টল দিতে হবে।
এই ব্যাপার গুলো মাঝে মাঝে আপনাকে খুব বিরক্তিকর অবস্থায় নিয়ে যায়।
এখন আপনি যদি বর্তমানে যে অবস্থায় আপনার পুরো সিস্টেম চলছে, এই অবস্থায় পুরো অপারেটিং সিস্টেম টিকে ব্যাকআপ করে রেখে দিন। তাহলে হঠাৎ কোন কারনে অপারেটিং সিস্টেম নষ্ট হলেও আগের অবস্থায় ফিরে যেতে আপনার খুব একটা কষ্ট করতে হবেনা।
শুধু মাত্র ব্যাকআপ করা ফাইল টিকে Restore করে নিলেই পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবে পারবেন এবং আগের সেটিং করা সব কিছু ফিরে পাবেন।
আসুন এবার স্টেপ বাই স্টেপ জেনে নেই, কিভাবে এই কাজটি করে নিতে হয়?
প্রথমে আপনার Computer এর Start মেনুর সার্চ বক্স এ টাইপ করুন – Backup Setting, তাহলে নিচের স্কিন সর্টের মত দেখতে পাবেন –
এবার Backup Setting এ ক্লিক করলে নিচের স্কিন সর্ট এর মত নতুন একটি উইন্ডো ওপেন হবে –
এই উইন্ডোতে দেখতে পারেন “Go to Backup and Restore (Windows 7)”, উপরে দেওয়া স্কিন সর্ট টি দখলে বুঝতে পারবেন।
যদিও আমি উইন্ডোজ ১০ ইউজ করছি, তবুও এখানে “Go to Backup and Restore (Windows 7)” এই লেখাটি দেখাচ্ছে। সমস্যা নেই, এখন এই “Go to Backup and Restore (Windows 7)” লেখাটির উপর ক্লিক করুন। ক্লিক করলে নতুন আরেক টি উইন্ডো দেখতে পাবেন নিচের স্কিন সর্টের মতন –
উপরের স্কিন সর্টে দেখুন, আপনি যদি এর আগে কখনো ব্যাকআপ না করে থাকেন তাহলে এমন দেখাবে।
এখন Setup Backup এ ক্লিক করে পরবর্তী স্টেপে চলে যান। এবার নিচের স্কিন সর্টের মত Starting Windows Backup লেখাটি দেখতে পাবেন এবং এখানে কিছুক্ষণ সময় নিবে –
এবার আপনার অপারেটং সিস্টেম কোন ড্রাইভে ব্যাকআপ রাখবেন সেই ড্রাইভ টি চিনিয়ে দিতে হবে। চেষ্টা করবেন কমপক্ষে ৫০ জিবির একটা খালি ড্রাইভে ব্যাকআপ রাখার। চিনের স্কিন সর্ট দেখলে বুঝতে পারবেন –
এবার স্কিন সর্টে দেখানো Next Button এ ক্লিক করে পরবর্তি স্টেপে চলে যান।
এবার দেখতে পাবেন নতুন আরেক টি উইন্ডো ট্যাব ওপেন হয়েছে। নিচের স্কিন সর্টে দেখানো হয়েছে –
প্রথমে লেখা আছে What do you want to back up?, এর পরেই দুটি অপশন দেওয়া আছে। আপনি প্রথম টিতে টিক মার্ক দিয়ে নিচের Next Button এ ক্লিক করে পরবর্তি উইন্ডোতে চলে যান।
এখন যেই উইন্ডো ট্যাব টি আপনার সামনে ওপেন হয়েছে, এটির স্কিন সর্ট নিচে দেওয়া হল –
এই উইন্ডো তে কোন কিছু চেইঞ্জ করতে হবেনা, যেভাবে আছে এভাবে রেখেই “Save Settings and exit” অপশনে ক্লিক করুন।
ক্লিক করার কিছুক্ষণ পর নিচের স্কিন সর্টের মতন আরেক টি নতুন ট্যাব দেখতে পাবেন –
এখানে দেখতে পাবেন, কিছুক্ষণ আগে আপনি ব্যাকআপ নেওয়ার জন্য যে ড্রাইভ টি সেলেক্ট করেছেন, সেটি শো করছে এবং ডান দিকে “Back up now” অপশনটি দেখাচ্ছে। এবার আপনি Back up now বাটনে ক্লিক করলে ব্যাকআপ নেওয়া শুরু হয়ে যাবে। নিচের স্কিন সর্ট টি দেখুন –
উপরের স্কিন সর্টে দেখাচ্ছে Backup in progress…। ব্যাকআপ হতে মোটামুটি সময় লাগবে। সেই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
ব্যাকআপ হয়ে গেলে নিচের স্কিন সর্টের মতন দেখতে পাবেন –
উপরের স্কিন সর্টে অনেক গুলো অপশন দেখতে পাবেন, এর মধ্যে লাল দাগ দেওয়া Schedule নামের একটা অপশন দেখতে পাচ্ছেন। মানে প্রতি রবিবার আপনার ব্যাকআপ ফাইল টি আপগ্রেট হতে থাকবে।
এর মধ্যে নতুন কোন যা যা আপনি চেইঞ্জ করবেন সব কিছু অটো আপডেট হতে থাকবে সিডিউল আকারে।
উইন্ডোজ ব্যাকআপ কিভাবে নিতে হয়, এতক্ষণে শিখে গিয়েছেন। এর পরেও যদি বুঝতে সমস্যা হয়, নিচের ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন।
শেষ কথা
আমার এই ছোট ছোট টিপস গুলো আপনার উপকারে আসলে, দয়া করে ব্লগ টি সবার মাঝে শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন। প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে ফেলুন। ধন্যবাদ!