You are currently viewing পেনড্রাইভ দিয়ে উইন্ডোজ সেটাপ কিভাবে দিবেনঃ উইন্ডোস ১০/৮/৭ একই সিস্টেম

পেনড্রাইভ দিয়ে উইন্ডোজ সেটাপ কিভাবে দিবেনঃ উইন্ডোস ১০/৮/৭ একই সিস্টেম

আজকের টপিক – পেনড্রাইভ দিয়ে উইন্ডোজ সেটাপ দেওয়ার কিছু সিস্টেম। আপনি উইন্ডোস সেটাপ দেওয়ার জন্য কোন সিস্টেম ফলো করেন আমার জানা নেই। আপনার কাছে আমার কিছু প্রশ্ন, কম সময়ের মধ্যে (মাত্র ১০ মিনিটস এর মধ্যে উইন্ডোজ সেটাপ দিতে পারবেন) উইন্ডোজ সেটাপ দিতে চাচ্ছেন? উইন্ডোস সেটাপ দেওয়ার কয়েকটি সিস্টেম নিয়ে জানতে চাচ্ছেন?

তাহলে আজকের ব্লগটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং শিখে নিন, উইন্ডোজ সেটাপ দেওয়ার কিছু চমৎকার পদ্ধতি সম্পর্কে।

পেনড্রাইভ দিয়ে উইন্ডোজ সেটাপ দেওয়ার দুটি চমৎকার পদ্ধতি

  1. Rufus ISO সফটওয়্যার
  2. Power ISO সফটওয়্যার

Rufus ISO সফটওয়্যার দিয়ে কিভাবে উইন্ডোস বুটেবল করবেন?

এই সফটওয়্যার টি আমি সেই ২০১৪ সাল থেকে ইউজ করে আসছি। আমি যখন প্রথম জানতে পারি উইন্ডোজ পেনড্রাইভ দিয়ে দেওয়া যায়, এর পর থেকে আমি কোনদিন ডি ভি ডি দিয়ে উইন্ডোস সেটাপ দেইনি।

বুঝতেই পারছেন এই সফটওয়্যার এর প্রতি আমার একটা বিশ্বাস অনেক আগ থেকেই কাজ করছে। বর্তমানেও আমি এই সফটওয়্যার দিয়েই উইন্ডোজ বুটেবল করে থাকি।

এটি সম্পূর্ন একটি ফ্রি সফটওয়্যার, আপনি Google এ সার্চ দিলেই ডাউনলোড লিঙ্ক পেয়ে যাবেন। তবুও আমি এখানে ডাউনলোড লিঙ্ক দিয়ে দিলাম।

এই সফটওয়্যারটি অন্য সফটওয়্যার এর মতন ইনস্টল দিতে হয়না। ক্লিক এর মাধ্যমে এটি কাজ করে।

উইন্ডোজ বুটেবল করার আগে কিছু ব্যাপার জেনে নিতে হবে –

  • পেনড্রাইভ টি ৮ জিবি বা এর বেশি হলে ভাল হয়।
  • পেনড্রাইভ সম্পূর্ন খালি রেখে এই কাজটি করবেন।
  • উইন্ডোস এর ISO ফাইল যেখান থেকে ডাউনলোড করবেন, সেই সাইট সম্পর্ক ভাল ধারনা নিয়ে নিবেন, কারন ভাইরাস থাকতে পারে।
  • চেষ্টা করবেন পরিচিত সাইট গুলো থেকে উন্ডোস এর ISO ফাইল গুলো ডাউনলোড করে নিতে। পরিচিত সাইটের মধ্যে আমার জানা কিছু সাইটের নাম হলো, CrazyHD, TorrentBD এবং Natural BD। আমি এই কয়টা সাইট থেকেই উইন্ডোস ISO ফাইল ডাউনলোড করে থাকি।

এবার আমরা স্টেপ ওয়াজ কাজ গুলো করে দেখাবো। চলুন শুরু করা যাক…

স্টেপ ০১

রুফুস সফটওয়্যার টি যেই ফোলডারে ডাউনলোড করেছেন সেখান যান এবং আপনার কম্পিউটার বা লেপটপে ৮ জিবি পেনড্রাইভ টি কানেক্ট করে নিন।

পেনড্রাইভ দিয়ে উইন্ডোজ সেটাপ কিভাবে দিবেন

স্টেপ ০২

রুফুস সফটওয়্যার টি ক্লিক করলে নিচের স্কিন সর্টের মত অবস্থা লক্ষ করবেন।

Rufus Software - পেনড্রাইভ দিয়ে উইন্ডোজ সেটাপ

স্কিন সর্টে আপনি দেখতে পাবেন লাল কালির দাগ দেওয়া অপশন –

Rufus software Step two - পেনড্রাইভ দিয়ে উইন্ডোজ সেটাপ

এই অপশনটি হলো কোন পেটানে আপনি বুটেবল করতে চাচ্ছেন। এই অপশনটির একেবারে প্রথমে যেটি লিখা আছে সেটি হলো – “MBR partition schema for BIOS or UEFI”। অপশনটি ক্লিক করার পর আরো দুটি লিখা দেখতে পাবেন, সেই দুটি লিখা হলো – “MBR partition schema for UEFI” এবং লাস্টে যেটি লিখা আছে, সেটি হলো – “GPT partition schema for UEFI”।

এখন আপনি কোন অপশনে উইন্ডোজ টি বুটেবল করবেন?

আমার জানা মতে উইন্ডোজ ১০ এর ক্ষেত্রে “GPT partition schema for UEFI” এই অপশনটি খুব ভাল এবং অন্য দুইটি উইন্ডোস ১০ এর ক্ষেত্রে অনেক সময় কাজ করেনা, যদি আপনার হার্ডডিস্ক এর পার্টিশন অনেক গুলো থাকে।

আর আপনি যদি SSD তে উইন্ডোজ সেটাপ দিতে চান, তাহলেও তিন নাম্বার “GPT partition schema for UEFI” অপশনটি আপনার জন্য বেটার অপশন।

উইন্ডোজ ৭ এবং ৮ এর ক্ষেত্রে তিন নাম্বার অপশন যদি কাজ না করে তাহলে ১ নাম্বার অপশনটি সিলেক্ট করে বুটেবল করে নিবেন। আশাকরি বুঝাতে পেরেছি।

স্টেপ ০৩

ফাইল সিস্টেম অবশ্যই NTFS করে নিবেন। স্কিন সর্ট নিচে দেওয়া হল –

NTFS File System - পেনড্রাইভ দিয়ে উইন্ডোজ সেটাপ
NTFS File System

স্টেপ ০৪

Cluster Size ডিফল করে দিবেন। স্কিন সর্ট নিচে দেওয়া হলো –

Cluster Size ডিফল করে দিবেন।
Cluster Size ডিফল করে দিবেন

স্টেপ ০৫

এই স্টেপে, Format Options যেভাবে ক্লিক করে দেওয়া আছে, সেই ভাবে রাখবেন এবং ISO ইমেজ সিলেক্ট করে নিবেন। নিচে স্কিন সর্ট টি দেখে নিন –

Format Options
Format Options

স্টেপ ০৬

স্কিন সর্টে লাল কালি দেওয়া অপশনটি ক্লিক করুন –

ISO ফাইল সিলেক্ট
ISO ফাইল সিলেক্ট

ক্লিক করলে ISO ফাইল সিলেক্ট করানোর জন্য ব্রাউজার ওপেন হবে, যেই ফোলডারে উইন্ডোজ এর ISO ফাইলটি রেখেছেন, সেখান থেকে ISO ফাইল টি ধরিয়ে দিন এবং সবশেষে Start অপশনটিতে ক্লিক করুন –

Start অপশনে ক্লিক করুন
Start অপশনে ক্লিক করুন

Start অপশনে ক্লিক করার সাথে সাথে একটি নতুন উইন্ডো দেখা যাবে, নিচের স্কিন সর্টের মতন –

পেনড্রাইভ দিয়ে উইন্ডোস সেটাপ দেওয়ার কিছু সিস্টেম

এবার OK বাটনে ক্লিক করুন এবং ১০ থেকে ১৫ মিনিন অপেক্ষা করুন উইন্ডোজ বুটেবল হওয়ার জন্য।

বুটেবল হওয়ার পর Close অপশনে ক্লিক করে সফটওয়্যার থেকে বের হয়ে যান।

সম্পূর্ন প্রসেস টি আরো ভালভাবে বুঝতে চাইলে নিচে দেওয়া টিউটোরিয়াল টি দেখে নিতে পারেন।

Power ISO সফটওয়্যার দিয়ে কিভাবে উইন্ডোজ বুটেবল করবেন?

পেনড্রাইভ দিয়ে উইন্ডোজ সেটাপ দেওয়ার দ্বিতীয় আরেক টি সিস্টেম। আমি যদিও এই সফটওয়্যার দিয়ে এর আগে কখনো উইন্ডোজ বুটেবল করেনি। আপনাদের দেখানোর জন্য করে দেখাবো।

প্রথমে আমরা এই লিঙ্ক থেকে সফটওয়্যার টি ডাউনলোড করে নি। ডাউনলোড করার পর এটি ইনস্টল করে নিতে হবে।

ইনস্টল করার আগে একটা ব্যাপার খেয়াল করবেন, ইনস্টল করার সময় এটি Avast ইন্টিভাইরাস কে ইনস্টল করার জন্য অপশন দিবে। আপনি Avast এর অপশনটি ক্লিক করে উঠিয়ে দিবেন, নিচে স্কিন সর্টে দেওয়া আছে –

Avast এর অপশনটি ক্লিক করে উঠিয়ে দিবেন

এই সফটওয়্যার টির পেইড ভার্সন আছে, আমরা ফ্রি ভার্সনেই কাজ চালিয়ে নিতে পারবো। ইনস্টল করার পর আমরা স্টেপ অনুসারে কাজ গুলো করব।

স্টেপ ০১

ইনস্টল করা সফটওয়্যার টি ওপেন করুন। এখন নিচের স্কিন সর্টের মত অবস্থা দেখতে পাবেন –

Continue Unregistered
Continue Unregistered

স্কিন সর্টে দেখতে পাবেন লাল কালিতে Continue Unregistered। এই অপশনে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর Power ISO এর ডেসবোর্ড দেখতে পাবেন।

স্টেপ ০২

এবার স্কিন সর্টে নিচের স্কিন সর্ট টি দেখুন এবং টুলস অপশনে ক্লিক করুন –

টুলস অপশনে ক্লিক করুন

টুলস অপশনে ক্লিক করার পর – Create Bootable USB Drive অপশনটি তে ক্লিক করুন, ক্লিক করার সাথে সাথে একটি পপআপ বক্স আসবে, নিচের স্কিন সর্টের মতন –

পপআপ বক্স

এবার Ok বাটনে ক্লিক করুন এবং পরবর্তি স্টেপ ফলো করুন।

স্টেপ ০৩

এবার আরেকটি পপআপ বক্স দেখতে পাবেন, যেই বক্সটি একটু আগেও দেখেছেন। নিচের স্কিন সর্টে দেখুন –

Continue Unregistered

আবার Continue Unregistered অপশনে ক্লিক করে পরবর্তি স্টেপে যান। এবার আপনার সামনে আর একটি পপআপ বক্স ওপেন হবে নিচের স্কিন সর্টের মতন –

উইন্ডোজ ISO ফাইল টি ব্রাউজার থেকে ধরিয়ে দিন

এবার আপনার উইন্ডোজ ISO ফাইল টি ব্রাউজার থেকে ধরিয়ে দিন এবং Start Button এ ক্লিক করুন।

১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় নিবে বুটেবল হওয়ার জন্য। এবার আপনার পেনড্রাইভ টি সেটাপ দেওয়ার জন্য রেডি।

আশাকরি বুঝতে পেরেছেন। তারপরেও যদি না বুঝে থাকেন, তাহলে নিচের টিউটোরিয়াল দেখে নিতে পারেন –

শেষ কিছু কথা

পেনড্রাইভ দিয়ে উইন্ডোজ সেটাপ দেওয়ার দুইটি সিস্টেম নিয়ে আমি বিস্তারিত বলার চেষ্টা করেছি। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন। যদি আপনার একটুও উপহার করতে পারি, তাহলে প্লিজ শেয়ার করে কাজের উৎসাহ বাড়াবেন। শেয়ার না করলে নতুন কিছু নিয়ে ব্লগ লিখতে ভালো লাগেনা। ধন্যবাদ সবাইকে!

Kawkab Nadim

আস সালামু আলাইকুম! আমি কাওকাব! কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টে অনার্স করেছি ☹️। ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার পরে অনলাইন মার্কেটিং এবং টেকনোলজি নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে আমার মন থেকে ভালোলাগা কাজ করে। মাঝে মধ্যে আমার বিভিন্ন টপিকে আর্টিকেল লিখতে ভালো লাগে, আর সেই ভালো লাগা থেকেই আমার এই পারসোনাল ওয়েবসাইট। আমার আর্টিকেল গুলো আপনাদের ভালো লাগলে অন্যদের সাথে শেয়ার করে জানিয়ে দিতে ভুলবেন না। নিজেকে নিয়ে আর বলার কিছু নেই। আমার সাথে কানেক্ট থাকতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ!

Leave a Reply