You are currently viewing SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল কিভাবে লিখবেন?

SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল কিভাবে লিখবেন?

আজকের টপিক – SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল কিভাবে লিখবেন! আপনি যদি ওয়েবসাইটে ব্লগিং করে ভাল কিছু করতে চান, তাহলে আপনার জন্য আজকের আর্টিকেলটি অনেক গুরূত্বপূর্ণ।

আমরা যদি আমাদের তৈরি কৃত ওয়েবসাইটের সব আর্টিকেলগুলোকে SEO ফ্রেন্ডলী করে লিখতে পারি, তাহলে গুগল সহ অন্যান্য সার্স ইঞ্জিন গুলোতে খুব ভাল রেংকিং গেইন করা সম্ভব।

একটি SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল রেংকিং এর ক্ষেত্রে ৭০-৮০% কাজ সহজ করে দেয়। আর এর বিপরীত যদি হয়, তাহলে বুঝতেই পারছেন যে রেংকিং এ অনেক সমস্যা হয় এমনি সাইট ব্যান হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। এসইও ফ্রেন্ডলীর বিপরীত আর্টিকেল বলতে আমি সেই সব আর্টিকেল কে বুঝিয়েছি যেগুলা অনেকটা কপিরাইট, অন্যজনের লিখা এডিট করে চালিয়ে দেওয়া।

আপনি যদি ১০০% SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল স্টাইলে নাও লিখা হতে পারে, বাট আর্টিকেল যদি ইউনিক হয় তাহলে দেখা যায় রেংকিং পরে হলেও আস্তে আস্তে হয়ে যায়। আর ইউনিক আর্টিকেল সাধারণত ৪০-৫০% অটো এসইও ফ্রেন্ডলি হয়ে যায়।

গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্লগ – স্কিল ড্রিভেন VS লেবার ড্রিভেন ইকোনমি কি? বিস্তারিত জানুনএখান থেকে

ভূমিকাতে অনেক কথা বলেছি। এবার বিস্তারিত শুরু করা যাক –

SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখার পূর্বে সবার প্রথম – মেইন কি-ওয়ার্ড সিলেক্ট করা

প্রথমে আপনি যে টপিকে আর্টিকেল লিখবেন, সেই টপিকে একটি ভাল প্রোফিটেবল মেইন কি-ওয়ার্ড বেছে নেওয়া। মেইন কি-ওয়ার্ড সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে যে দুইটি বিষয় বেশি খেয়াল করবেন –

  • সার্চ বলিওম এবং
  • কি-ওয়ার্ড কম্পিটিশন

অনেক সময় সার্চ ভলিওম আপনার মত মত নাও হতে পারে বাট ভবিষ্যৎ এ সার্চ ভলিওম ভাল হতে পারে এমন কি-ওয়ার্ড হয়ে থাকলে সেটি নিয়ে কাজ করলে রেংকিং এ অনেক তাড়াতাড়ি প্রথমে চলে আসবেন এবং যখন কি-ওয়ার্ড এর সার্চ ভলিওম গুগলের রোবটের কাছে জমা হবে তখন আপনাকে রেংকিং থেকে সরানো অন্যদের জন্য কঠিন হবে। তাই এই টাইপের কি-ওয়ার্ড নিয়ে কাজ করলে খারাপ হবেনা।

কিওয়ার্ড বাছাই করার ক্ষেত্রে KGR(Keyword Golden Ratio) কিয়ার্ড বাছাই করে আর্টিকেল লিখতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়।

KGR কিয়ার্ড কি? এই টপিকে আমি বিস্তারিত একটি আর্টিকেল লিখেছি। এখান থেকে পড়ে আসতে পারেন।

মেইক কি-ওয়ার্ড সিলেক্ট করার পর, এটিকে গুগলের প্রথম পেইজে রেংক করানোর জন্য একটি সাইটম্যাপ বা রোডম্যাপ তৈরি করে নিবেন।

দ্বিত্বীয়ত যে কাজগুলো করবেন

  • আর্টিকেলের যে টাইটেল নির্বাচন করবেন, সেই টাইটেলের ভিতর মেইন কি-ওয়ার্ড টি রাখবেন এবং টাইটেল টিকে অবশ্যই Eye Catchy করে তৈরি করে নিবেন, যেন যে কেউ আপনার টাইটেল দেখে ক্লিক করতে ইচ্ছে হয়, ব্যাপার টা এমন।
  • Permalink এর ভিতর মেইন কি-ওয়ার্ড রাখার চেষ্টা অবশ্যই করবেন এবং পারমালিংকটি যতটুক সম্ভব ছোট রাখবেন।
  • মেটা ট্যাগ এবং মেটা ডেসক্রিপশনে কি-ওয়ার্ডটি টেকনিক্যালি রাখার চেষ্টা করবেন। মেটা ট্যাগ এখন আর আগের মত কাজ করেনা, তাই মেটা ডেসক্রিপশনে অবশ্যই মেইন কিওয়ার্ড টি একবার হলেও রাখবেন।

বিঃদ্রঃ একটি আর্টিকেলে মেইন কি-ওয়ার্ড একটির বেশি নিয়ে কাজ করতে যাবেন না, এতে নেগেটিব ইফেক্ট পরতে পারে।

Image ব্যবহারের এসইও নিয়ম

  • কপিরাইট ইমেজ থেকে ১০০% বিরত থাকবেন।
  • ইমেজ টাইটেল, Altertag, ইমেজ ডেসক্রিপশনে মেইন কি-ওয়ার্ড টি রাখার চেষ্টা করুন।
  • Altertag এ মেইন কি-ওয়ার্ড সরাসরি রাখুন।
  • ইমেজ টাইটেল এ সরাসরি মেইন কি-ওয়ার্ড দিবেন না, আগে পরে কিছু এড করে দিন।
  • ইমেক ডেসক্রিপশনে খুব বেশি বড় দিবেন না, ৮-১৫ ওয়ার্ড এর মধ্যেই শেষ করবেন।
  • ডেসক্রিপশনেও সরাসরি মেইন কি-ওয়ার্ড টি বসাবেন না, আগে পরে কিছু এড করে দিবেন।

বিঃদ্রঃ Image Title এবং Image Description এ সরাসরি মেইন কি-ওয়ার্ড দিলে সেটা এসইও ফ্রেন্ডলি হবেনা। তাই আবারো বলছি, মেইন কি-ওয়ার্ড এর আগে পরে কিছু এড করে নিবেন। আর উপরের পয়েন্ট গুলো শুধু মাত্র Feature Image এর ক্ষেত্রে বলেছি। ফিচার ইমেজ ব্যাতীত অন্য যে ক্যাটাগরি ইমেজে আমরা বিভিন্ন আর্টিকেলে ব্যাবহার করে থাকি, সেই ক্যাটাগরি ইমেজে সরাসরি মেইন মেইন কিওয়ার্ড না রাখাই ভালো, চেষ্টা করবেন আগে পরে কিছু এড করে নেওয়া।

উপরের কথাগুলো আর্টিকেল এর ব্যাসিক SEO Optimization। এবার আমরা আর্টিকেল এর বডি সেকশন নিয়ে কিছু গুরূত্বপূর্ণ ব্যাপার পয়েন্ট করব

আর্টিকেল ইউজার ফ্রেন্ডলি করা

ইউজারকে বুঝানোর জন্য যে যে শব্দ গুলো বেশি ব্যাবহার করা দরকার সেগুলা বেশি করবেন এতে কোন সমস্যা হবেনা। অনেকেই মনে করেন যে, the, and, so ইত্যাদি শব্দ এবং Mix-Language গুলো যত কম ইউজ করা যায় ততই নাকি ভাল।

আসলেই ব্যাপার টা তেমন না। আপনার স্রোতাদের বুঝানোর জন্য যদি এই শব্দ গুলো বেশি ব্যবহারের প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই এগুলো বেশি ব্যবহার করবেন।

আপনি যে ইউজার ফ্রেন্ডলি করার জন্য কিছু কিছু শব্দ বেশি ব্যবহার করছেন, ২০১৯ তে এসে গুগলের রোবট এতটুক বুঝার ক্ষমতা রাখে।

জোর করে মেইন কি-ওয়ার্ড আর্টিকেলে বডিতে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না

আর্টিকেলের বডি সেকশনে মেইন কি-ওয়ার্ড জোর করে দেওয়ার দরকার নেই। চেষ্টা করবেন কি-ওয়ার্ড এর সিনোনিমাস ইউজ করতে। যেমন আপনার কি-ওয়ার্ডটি যদি Android Phone User হয়, তাহলে আপনি – Smart Phone User, USA Android User এগুলো ইউজ করার চেষ্টা করবেন।

Head Tag এর সঠিক ব্যবহার করুন

আর্টিকেলের টাইটেলটি h1 ট্যাগে পাবলিশ হয়ে থাকে। তাই বডি সেকশনের হেডিং গুলো h2/h3/h4 এই কয়টার মধ্যে রাখলেই ভাল হয়। একটি আর্টিকেলে h1 ট্যাগ একবার ইউজ করা যায়, এর বেশি ইউজ করলে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল হয়না।

আমি আগেই বলেছি মেইন কি-ওয়ার্ড বডি সেকশনের যে কোন জায়গায় জোর করে ইউজ করার দরকার নেই, প্রয়োজন হলে ইউজ করবেন। আবার এমন যেন না হয়, মেইন কি-ওয়ার্ড ইউজ করা দরকার বাট আপনি করছেন না। চেষ্টা করবেন টেকনিক্যালি ইউজ করার।

আপনি বডি সেকশনে যে হেডলাইন গুলো হেড ট্যাগ h2/h3/h4 ইউজ করে লিখবেন, চেষ্টা করবেন হেডলাইনের ভিতরে মেইন কি-ওয়ার্ডটি রাখার। রাখতে না পারলে জোর করে রাখতে যাবার দরকার নেই।

অনেক সময় দেখা যাবে যে, আপনার হেডলাইন টোটাল ৫ টা, এর মধ্যে ৩ টাতে আপনি মেইন কি-ওয়ার্ডটি রাখতে পারছেন বাকি দুইটাতে পারছেন না। সমস্যা নেই, বাকি দুইটাতে রাখার দরকারও নেই। তবে চেষ্টা করবেন রাখার।

বডি সেকশনে মেইন কি-ওয়ার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে দূরুত্ব বজায় রাখুন

আর্টিকেলের প্রথম প্যারাতে যদি কি-ওয়ার্ডটি রাখেন, তাহলে প্যারার শেষে কি-ওয়ার্ডের সিনোনিমাস রাখার চেষ্টা করবেন। আবার অন্য কোন প্যারার প্রথমে যদি কি-ওয়ার্ডটি রাখেন, তাহলে সেই প্যারার শেষে কি-ওয়ার্ট একটি পার্ট রাখার চেষ্টা করবেন। কি-ওয়ার্ডের রিলেটিব শব্দও ইউজ করতে পারেন এই ক্ষেত্রে।

আপনার বডি সেকশনে যদি ১০-১২ প্যারা হয়ে থাকে তাহলে প্রথম কয়েক প্যারায় কি-ওয়ার্ড টি নিয়ম মাপিক রাখার চেষ্টা করবেন। আবার শেষের প্যারার দিকে কি-ওয়ার্ডটি সেইম সিস্টেমে রাখার চেষ্টা করবেন।

এসইও ফ্রেন্টলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম এখানেই শেষ। আমি জানি বুঝতে একটু কষ্ট হবে আপনার। কয়েকবার আর্টিকেলটি পড়লে বুঝে যাবেন।

যখন প্রথম SEO Friendly Article লিখতে বসবেন, তখন অনেক সময় চিন্তা করেই লিখতে হবে। কয়েকটা আর্টিকেল এভাবে সময় নিয়ে চিন্তা করে লিখে যেতে পারলে দেখবেন এর পর থেকে এসইও অফটিমাইজ আর্টিকেল লিখতে বসলে অটোমেটিক সব কিছু ঠিকঠাক হয়ে যাবে।

কিছু গুরূত্বপূর্ণ কথা

  • SEO Optimized আর্টিকেল ১০০০-১৫০০ শব্দের হলে ভাল হয়।
  • গ্রামারটিকেল ভুল করবেননা, প্রয়োজনে Grammarly Add-ons আপয়ার ব্রাউজারে ইনস্টল করে নিবেন
  • রি-রাইটার করে কোন আর্টিকেল সাইটে পাবলিশ করবেন না। ১০০% ইউনিক না হলে এসইও ফ্রন্ডলি কখনোই হবেনা।

অনেক কিছু বলার চেষ্টা করেছি। আপনি কতটুক বুঝেছেন সেটা আমি বলতে পারবোনা, তবে আমি ভালভাবে বুঝানোর ট্রাই করেছি। উপরের নিয়ম গুলো মেনে ৪/৫ টা আর্টিকেল লিখলে আপনার পরবর্তিতে SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে সমস্যা হবেনা ইনশাআল্লাহ!

আপনি যদি এসইও তে নিজেকে এক্সপার্ট হিসেবে দেখতে চান, তাহলে আমার একটি আর্টিকেল এখান থেকে পড়ে আসতে পারেন আমার আর্টিকেলটি পড়লেই এক্সপার্ট হয়ে যাবেন না। এক্সপার্ট হওয়ার যে যে সিস্টেম গুলো বলেছি আমি, সেগুলো সঠিক ভাবে করে যেতে পারলে ইনশাআল্লাহ আপনি হয়ে যেতে পারেন SEO ইন্ড্রাস্টির একজন সফল ব্যাক্তি।

Conclusion

SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল কিভাবে লিখতে হয় এই টপিকে আর্টিকেল আজকের মত এখানেই শেষ করলাম। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে ফ্রেন্ডদের সাথে শেয়ার করুন। কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে করে ফেলুন। আজ এ পর্যন্তই। ধন্যবাদ!

Kawkab Nadim

আস সালামু আলাইকুম! আমি কাওকাব! কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টে অনার্স করেছি ☹️। ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার পরে অনলাইন মার্কেটিং এবং টেকনোলজি নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে আমার মন থেকে ভালোলাগা কাজ করে। মাঝে মধ্যে আমার বিভিন্ন টপিকে আর্টিকেল লিখতে ভালো লাগে, আর সেই ভালো লাগা থেকেই আমার এই পারসোনাল ওয়েবসাইট। আমার আর্টিকেল গুলো আপনাদের ভালো লাগলে অন্যদের সাথে শেয়ার করে জানিয়ে দিতে ভুলবেন না। নিজেকে নিয়ে আর বলার কিছু নেই। আমার সাথে কানেক্ট থাকতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ!

This Post Has 2 Comments

  1. Sourav Acharya

    খুব ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে।

Leave a Reply