You are currently viewing অনলাইনে ক্যারিয়ার ডেভেলপ করার ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো কি কি?

অনলাইনে ক্যারিয়ার ডেভেলপ করার ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো কি কি?

খুব প্রাসংঙ্গিক একটা টপিক নিয়ে আজকের আর্টিকেল “অনলাইনে ক্যারিয়ার ডেভেলপ করার ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো কি কি“। আমরা সব সময় অযুহাত দিয়ে যে কোন ব্যাপার এড়িয়ে যেতে পছন্দ করি, এটাই হয়তো মানব জাতীর একটা প্রাকৃতিক সমস্যা।

এই সমস্যা কেবল আমাদের দেশের মানুষের না, পৃথিবীর সব দেশের মানুষের মাঝেই এই অযুহাত দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। তবে আমাদের দেশের মানুষের হয়তো একটু বেশিই রয়েছে।

অনলাইনে ক্যারিয়ার ডেভেলপ করার ক্ষেত্রে কিছু কমন সমস্যা নামক অযুহাত নিয়ে আজকে আমি বিস্তারিত বকবক করব। আর্টিকেলের পুরোটা পড়লে কিছুটা হলেও বেনিফিট পাবেন, যদি আপনি অনলাইনে নিজের ক্যারিয়ার দাঁড় করাতে চান।

স্কিল ড্রিভেন VS লেবার ড্রিভেন ইকোনমি কি? বিস্তারিত জানুন এখান থেকে

অনলাইনে ক্যারিয়ার ডেভেলপ করার ক্ষেত্রে সমস্যা নামক এই অযুহাতগুলোকে আমি প্রথমে পয়েন্টআউট করে নেই –

  • টাকার অভাবে ইনভেস্ট করতে পারছিনা।
  • কোন প্লাটর্ফম থেকে আয় করতে পারব বুঝতে না পারা।
  • কোথা থেকে যে শুরু করবো বুঝতে পারছিনা।
  • কাজ না জেনেও জানার বান করা।
  • হঠাৎ অফলাইন থেকে অনলাইনে মুভ করা।
  • ভাল রিসোর্স খুজে না পাওয়ার মিথ্যা অযুহাত।
  • মেন্টর খুঁজে পাইনা তাই কিছু করতে পারিনা।
  • বিভিন্ন কোর্স করে কাজ শিখেছি তবুও কাজ পাচ্ছিনা।

টাকার অভাবে ইনভেস্ট করতে পারছিনা

এই দলের মানুষের সংখ্যা কম না। অনেকেই এই কথা গুলো বলে থাকেন। তাদেরকে ইনডিকেট করে বলছি, অনলাইনে আয় করার ক্ষেত্রে ইনভেস্ট এর পার্ট টা না আনলেও চলবে।

শুধু চলবে না, খুব ভাল ভাবেই চলবে। আপনি যদি মনে করে থাকেন যে, অনলাইনে ভাল কিছু করতে হলে ইনভেস্ট করা লাগবে, আপনার সাথে আমি দ্বিমত পোষণ করছিনা।

বাট আপনি নতুন অবস্থায় ইনভেস্ট এর চিন্তা না করে স্কিল কিভাবে ডেভেলপ করা যায় সে দিকে মনোযোগি হোন। দেখবেন ইনভেস্ট ছাড়াই ইনকাম আসতে শুরু করছে।

ইনভেস্ট না করে ইনকাম করা যায়, এই টাইপের অনেক কাজ অনলাইনে ঘুরপাক খাচ্ছে। সেই টাইপের কাজ গুলো শিখতে যে যে স্কিল গুলো জানা দরকার সেগুলা গুগল আর ইউটিউব এই দুই প্লাটফর্ম থেকেই ফ্রি ভাবেই শিখা যায়, যদি আপনার ইচ্ছে থাকে।

যেমন- অনেকেই আছেন, যারা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট রাইটিং, এসইও এই টাইপের স্কিল গুলো শিখতে চান।

এগুলো টাকা খরচ করে শিখতে হয়না। বিশ্বাস করেন, প্রচুর ফ্রি রিসোর্স গুগল এবং ইউটিউব ঘেটেই শিখা সম্ভব, যদি ইচ্ছে থাকে। কিভাবে এসইও প্লাটফর্মে এক্সপার্ট হওয়া যায় এই নিয়ে আমার আর্টিকেলটি এখান থেকে পড়ে আসুন।

আর কেউ যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ইমেল মার্কেটিং, অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এই টাইপের ইন্ড্রাসি গুলোতে ভাল কিছু করতে চান, তাহলে এখানে শুরু থেকেই ইনভেস্টমেন্ট এর ব্যাপারটা চলে আসে। তবে এই ইন্ড্রাসটি গুলোকে কাজ না মনে করে অনেকটা ব্যাবসার মতন চিন্তা করে আগানো ভাল। এই ক্ষেত্রেও ব্যাসিক নলেজ গুলো টাকা ছাড়াই শিখে নেওয়া যায় ইউটিউব আর গুগল সার্চ করে।

আমাদের প্রধান সমস্যা হলো অযুহাত দেওয়া। তাই এই টাইপের সমস্যার কথা চিন্তা করে কাজ না করে ইনভেস্টমেন্ট এর মিথ্যা এক অযুহাত দিয়ে বসে থাকা।

বুঝতেই তো পারছেন, ইনভেস্ট ছাড়াও অনেক কাজ ফ্রিতেই শিখে নেওয়া যায় এবং খুব ভালভাবেই অনলাইনে ক্যারিয়ার গঠন করা সম্ভব।

কোন প্লাটফর্ম থেকে আয় করবো বুঝতে না পারা

এটা একটা হাস্যকর টাইটেল দিয়ে শুরু করলাম কারন হলো, অনেকেই ক্যাপচা, ভিডিও দেখে আর্ন, এপ নামিয়ে আর্ন এই টাইপের ফালতু কিছু “কাজ” এর পিছনে সময় দিয়ে কিছু ইনকাম করে। আর তাই দেখে নতুনদের মধ্যেও এই টাইপের ধারণা সৃষ্টি হয় যে, এভাবে ক্যাপচা, ভিডিও দেখেও আর্ন করা যায়।

এই ক্ষেত্রে অনেকেই এভাবে ইনকাম করার জন্য ভাল সাইট খুঁজে, যেখান থেকে এই টাইপের স্কিল বিহীন কাজ করে অনলাইনে ক্যারিয়ার দাঁড় করাবে।

সত্য বলতে এসব সাইট কোন ব্যাপার না।

আমাদের ব্যাসিক নলেজ দিয়ে জানি যে, কোন একটা সাইট বা মার্কেটপ্লেস এর সৃষ্টি হয় শুধু মাত্র আপনাকে এবং ক্লায়েন্ট কে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া। এখন যদি আপনি কোন একটি পার্টিকুলার টপিকে খুব ভাল স্কিল জেনে নিতে পারেন, তাহলে আপনি ঐ পার্টিকুলার ক্লায়েন্টের দেওয়া কাজটি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এখন আপনার যদি কোন কাজের স্কিল না থাকে, তাহলে যত ভাল মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করেন না কেন, কাজ পাবেন না। কাজ জানলে অনলাইনে এমন অনেক ভাল ভাল মার্কেটপ্লেস আছে, যেখানে একাউন্ট করে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে খুব ভাল একটি অনলাইন ক্যারিয়ার দাঁড় করাতে পারবেন।

আমরা জানি ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ফাইভার, আপওয়ার্কের মত আরো অনেক ভালভাল মার্কেটপ্লেস আছে। যদি আপনার স্কিল জানা থাকে, এখান থেকে কাজ পাওয়া কোন কঠিন ব্যাপারনা।

যদি এমন হয় যে, আপনি সত্যিই কাজ জানেন, কিন্তু মার্কেটপ্লেস গুলোতে তেমন কাজ পাচ্ছেন না, তাতেও সমস্যা নেই কারন স্কিলফুল মানুষের কাজের অভাব হয়না, হোক সেটা অনলাইন কি অফলাইন। তাই বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খোলার দিকে মনোযোগ না দিয়ে স্কিল ডেভেলপ করার দিকে বেশি মনোযোগী হোন, দেখবেন কাজের অভাব হবেনা।

আবারো বলতেছি, ক্যাপচা, ডাটা ইন্ট্রি, ভিডিও দেখে ইনকাম এই টাইপের কাজ করার জন্য আপনি যে সাইট গুলোতে অযথাই সময় নষ্ট করছেন, একদিন আফসোস করবেন এই সময় গুলোর নষ্ট করার জন্য।

ক্যাপচা, ভিডিও দেখে ইনকাম কোন স্কিল না, এই টাইপের সাইট গুলো বন্ধ হয়ে গেলে আপনি অন্য কোথাও গিয়ে কাজ করতে পারবেন না।

এই ক্ষেত্রে আপনার যদি স্কিল জানা থাকে কোন পার্টিকুলার টপিকে, তাহলে এক জায়গা থেকে কাজ না পেলেও অন্য জায়গাতে ঠিকই কাজ পেয়ে যাবেন, কারণ আপনি এমন একটি কাজের স্কিল শিখে নিয়েছেন, যার ভেলু সব জায়গাতেই আছে।

আপনার সেই স্কিলফুল কাজটি হতে পারে এসইও, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট রাইটিং, থিম ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি আরো অনেক।

কোথা থেকে শুরু করবো বুঝতে না পারা

এটা একটা কমন সমস্যা। কিভাবে কোথা থেকে শুরু করবো বুঝতে না পারা। আপনি যদি এই টাইপের মধ্যে পড়ে থাকেন থাহলে এখান থেকে একটি বই পড়ে আসতে পারেন। যেটা বাংলাদেশের খুব ভালমানের একজন ডিজিটাল মার্কেটার খালিদ ফারহান ভাইয়ের লিখা।

কিভাবে শুরু করবেন বুঝতে যদি না পারেন, আমি একটু বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করছি যেন আপনি বুঝতে পারেন। অনলাইনে সাধারণত দুই ভাবে আয় করা যায়।

বিজনেস সিস্টেমে – যেমন নিজের একটা ব্যবসা দাঁড় করিয়ে, হতে পারে সেটা এফিলিয়েট মার্কেটিং, ড্রপ শিপিং, লোকাল এসইও ইত্যাদি।

কোন পার্টিকুলার স্কিল শিখার মাধ্যমে – আপনি প্রথমে একটা স্কিল খুব ভালভাবে শিখে নিবেন, পরে এই স্কিল বিক্রি করে ইনকাম জেনারেট করবেন, যেটাকে আমরা বলে থাকি ফ্রিল্যান্সিং।

যেমন গ্রাফিক ডিজাইন, থিম ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট রাইটিং এগুলা এক একটা স্কিল, যেই স্কিল গুলো প্রথমে আপনি শিখে নিবেন, তারপর বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করে এই স্কিল রিলেটেক কাজ করে ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে ইনকাম জেনারেট করা। আর এই পুরো সিস্টেমটাকে আমি বলছি স্কিল বিক্রি করে ইনকাম করা। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

উপরে আমি দুই সিস্টেমে অনলাইনে ক্যারিয়ার ডেভেলপ করে ইনকাম করার পদ্ধতি নিয়ে বলেছি। এখন আপনার প্রথমত নিজেকে ঠিক করে নিতে হবে কোন সিস্টমে আপনি শুরু করতে চাচ্ছেন।

দ্বিতীয় কাজ হল – এই দুই সিস্টেমের যে কোন একটার মধ্যে যখন আপনি প্রবেশ করবেন, দেখবেন এই সিস্টেম গুলোর ভিতরে আরো অনেক কেটাগড়ি আছে। প্রায় সাড়ে ৫ হাজার ফ্রিল্যান্স স্কিল আছে যেগুলার মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম জেনারেট করা যায়।

কিন্তু আমরা কয়টা স্কিল জানি? গ্রাফিক ডিজাট, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট রাইটিং এই দুই তিনটার মধ্যেই পড়ে থাকি। তাই আপনার জন্য দ্বিতীয় কাজ হবে, যেই সিস্টেমের যে কাজের স্কিলটি আপনি শিখতে চান সেটি সিলেক্ট করা।

তৃতীয় কাজ – সেই সিলেক্ট করা স্কিলটি খুব ভালভাবে শিখা।

এবং সর্বশেষ কাজ হবে – একশনে যাওয়া। অর্থাৎ শেখা জ্ঞান ব্যবহার করে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এ একাউন্ট করে কাজ করা এবং মার্কেটপ্লেসের বাইরেও কাজ করে যাওয়া।

কাজ না জেনে জানার বান করা

হেডলাইন দেখে ভাবছেন কিছু একটা? সত্যি বলতে এই টাইপের মানুষের সংখ্যা কিন্তু কম না, যারা কাজ ঠিকভাবে না জেনেও বলে কাজ পারে সাথে আরো বলে কাজ পারে অথচ কাজ পাচ্ছেনা।

আপনি যদি গ্রাফিক ডিজাইন পারেন, তাহলে আপনার কয়েকটা ইউনিক ডিজাইন থাকবে এটাই স্বাভাবিক নয় কি? ব্যাপারটা যদি এমন হয়, আপনি দাবি করছেন গ্রাফিক ডিজাইন পারেন, অথচ ক্লায়েন্ট যদি আপনাকে কোন ইউনিক একটা ডিজাইন তৈরি করে দিতে বলে, আপনি সেখানে ব্যার্থ হয়ে ফিরে আসেন। এমন হলে, এটাকে পারা বলেনা।

যদি সত্যিই ভালমানের গ্রাফিক ডিজাইন নিজেকে দাবি করতে চান, তাহলে যেকোন একটি ডিজাইন করতে দিলে সেটা আপনাকে করে দিতে হবে, তাহলে বুঝবেন সত্যিই আপনি পারেন। কাজ পারলে কাজ পাবেন না এটা কখনোই হতে পারেনা।

অনেকেই বলে আমি এসইও পারি বাট কাজ পাচ্ছিনা। এই টাইপের মানুষের কাছে যদি জানতে চাওয়া হয়, আপনি তো কাজ জানেন তাহলে এমন একটা সাইট দেখান যেটার এসইও আপনি নিজে করে রেঙ্ক করাতে পেরেছেন। তখন উত্তর গুলো হয়, আমি তো ওমুক ভিডিও দেখছে, কোর্স করেছি।

ভিডিও দেখলে বা কোর্স করলেই কাজ পারা হয়ে যায়না। একজন এসইও এক্সপার্ট তাকেই বলে, যাকে একটা কিওয়ার্ড দিলে সেটাকে এসইও করে গুগলের প্রথম পেইজে রেঙ্ক করাতে পারবে। সত্যি বলতে একজন এসইও এক্সপার্টের কাজের অভান নেই।

আমি দুইটি স্কিল নিয়ে বললেম। প্রতিটি স্কিল এর জন্যই সত্যি। যে কোন স্কিল আপনি ভাল পারলে এর প্রমান দিতে আপনার সমস্যা হবেনা। ডিভিও দেখে আর কোর্স কমপ্লিলিট করে স্কিল শিখা হয়ে যায়না। প্রচুর প্রাকটিস করে যেকোন স্কিল খুব ভালভাবে আয়ত্ত করে নিতে হয়।

তাই মিথ্যা এক্সপার্ট হওয়ার গল্পও একটা বড় কারণ অনলাইনে ক্যারিয়ার ডেভেলপ করাতে না পারার।

হঠাৎ অফলাইন থেকে অনলাইনে মুভ করা

অনলাইনে ক্যারিয়ার ডেভেলপ ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটি মাথায় রেখে সামনে আগানো উচিৎ! আমার বন্ধু ফ্রিল্যান্সি বা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে হাজার ডলার ইনকাম করছে।

এই ব্যাপারটা আপনাকে খুব জ্বালাচ্ছে, তাই অফলাইনের চাকরী ছেড়ে দিয়ে কিছু টাকা পয়সা নিয়ে অনলাইনে চলে আসলেন। ১/২ মাস চেষ্টা করে ব্যার্থ্য হয়ে আবার আগের যায়গায় ফিরে গেলেন। এতে আপনার এক পয়সাও লাভ হলনা, বরং সময় অর্থ সব কিছুতে আপনি ফেল করলেন।

একজন ডাক্তার ৬/৭ বছর প্রচুর পড়াশুনা করে ডাক্তারী করার জন্য চেম্বারে বসে। ৬/৭ বছর জোর করে পড়াশুনা করে কেউ ডাক্তার হতে পারেনা, ডাক্তারি পড়ার প্রতি প্রেম না থাকলে ডাক্তার হওয়া যায়না।

আপনি হয়তো দূর থেকে দেখে মনে করছেন অনলাইনে ক্যারিয়ার ডেভেলপ করে ইনকাম করাটা খুব সহজ। আসলেই কি খুব সহজ? যতটা ইজি ভাবছেন এতটা ইজি না, এখানেও আপনাকে কাজের প্রতি ভালবাসা থাকতে হবে, প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে।

প্রতিটা কাজকে মন থেকে ভালবেসে করে যেতে হবে। শুধু টাকার জন্য কোন কাজ করলে সাকসেস আসেনা, কারন আপনার মাথায় সারাক্ষণ টাকার চিন্তা টাই ঘুরে, তাই কাজটা আর ভালভাবে কমপ্লিলিট করা হয়না।

কারো ইনকাম দেখে হঠাৎ করে অফলাইন থেকে অনলাইনে মুভ করবেন না। যদি সত্যিই অনলাইনে আপনার আসতে ইচ্ছে হয়, তাহলে খুব ভালভাবে চিন্তা করে আসবেন। কিছু রোড মেপ তৈরি করে আসবেন। অফলাইনের কাজ করার পাশাপাশি অনলাইনের কাজগুলো আস্তে আস্তে করে যাবেন, দেখবেন আপনি পজিটিব রেজাল্ট পাবেন।

ভাল রিসোর্স খুঁজে না পাওয়ার অযুহাত

অনলাইনে ক্যারিয়ার ডেভেলপ ক্ষেত্রে ভাল রিসোর্স খুঁজে না পাওয়ার অনেক অযুহাত পাওয়া যায়। অনেকেই বলে থাকেন যে, ভাল রিসোর্স এর অভাবে ভাল কিছু করতে পারছিনা।

এসব সত্যিই অনেক লেইম অযুহাত। এই ডিজিটাল যুগে এই টাইপের অযুহাত দিবেন না। আপনার ইচ্ছে থাকলে ফ্রি যেসব রিসোর্স আছে সেগুলা দিয়েই অনেক ভাল কিছু করতে পারবেন।

আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে চান? W3school আছে, যেটা সম্পূর্ণ ফ্রি। একজন ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টের শিক্ষার্থির জন্য এর থেকে ভাল রিসোর্সের দরকার হবেনা যদি সে সত্যিই শিখতে চায়।

আমি যাস্ট একটা স্কিল এর উদাহারণ দিয়ে বললাম। এরকম প্রতিটা স্কিল এর ফ্রি রিসোর্স অনলানে অভাব নেই। আপনার ইচ্ছে থাকলে খুঁজে নিতে পারবেন এবং শিখতেও পারবেন। ইচ্ছে না থাকলে অযুহাত দিয়ে সময় নষ্ট করে যাবেন।

আশাকরছি বুঝতে পারছেন এবং আমিও চাই আপনি এই টাইপের অযুহাত বাদ দিয়ে অনলাইনে ক্যারিয়ার ডেভেলপ করে ভাল কিছু করুণ।

ভাল মেন্টর খুঁজে পাইনা তাই শিখতে পারছিনা

২০১৮ সালে এসে আপনি ভাল মেন্টর খুঁজছেন অনলাইনে ক্যারিয়ার ডেভেলপ করে সাকসেস হওয়ার জন্য? ব্যাপারটা হাস্যকর। মানুষের কাজ না থাকলে আপনার এই মনিটরিং এর দায়িত্ব নিতে আসবে এ ছাড়া কোন সুস্থ মানুষ তার কাজ রেখে আপনাকে ফ্রি মনিটরিং করাতে আসবেনা কেউ।

হ্যা, এটা ঠিক যে, একজন ভাল পার্টনার পেলে কাজের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হয়। তাই বলে এই লেইম অযুহাতে কিছু করতে পারছেন না, এইসব বলে নিজেদের কে হাস্যকর বানাবেন না।

ব্যাপারটা যেন এমন না হয়, আপনি বসে থাকবেন, কেউ একজন আপনাকে স্টেম বাই স্টেপ দেখিয়ে দিবে। এতটা আশা করে অনলাইনে সাকসেস হওয়ার স্বপ্ন দেখা যায়, বাস্তবে এসব হয়না। আপনার নিজেকেই প্রথমে আগাতে হবে। কোন জায়গায় আটকে গেলে হেল্প চাইবেন, তখন দেখবেন অনেকেই আপনাকে হেল্প করছে।

বিভিন্ন কোর্স করে কাজ শিখেছি তবুও কাজ পাচ্ছিনা

কোর্স করে কাজ শিখেছেন এর প্রমাণ কি? আগেই তো বললাম আপনি যদি সত্যিই একজন এসইও এক্সপার্ট নিজেকে দাবি করেন, তাহলে যেকোন একটা ওয়েবসাইট এসইও করে রেঙ্ক করাতে পেরেছেন এমন একটা প্রমাণ দিন, যদি না দিতে পারেন, আপনি কাজ পাবেন না এটাই সত্যি।

কোর্স করলে, হাজার হাজার টিউটোরিয়াল দেখলে কাজ পারা হয়ে যায়না। কেউ যদি আপনাকে একটা কাজ করে দিতে বলে, সেই কাজটা আপনি করে দিতে পারেন, তাহলেই আপনি সাকসেস। কাজ পারলে কেউ কাজ পায়না এটা বিশ্বাসযোগ্য না। স্কিলফুল লোকের কাজের সত্যিই অভাব হয়না।

সত্যি বলতে আজকের আর্টিকেলে অনেক কথা বলেছি। চেষ্টা করেছি বিস্তারিত বুঝানোর। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে প্লিজ শেয়ার দিবেন। প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন, উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ!

Kawkab Nadim

আস সালামু আলাইকুম! আমি কাওকাব! কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টে অনার্স করেছি ☹️। ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার পরে অনলাইন মার্কেটিং এবং টেকনোলজি নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে আমার মন থেকে ভালোলাগা কাজ করে। মাঝে মধ্যে আমার বিভিন্ন টপিকে আর্টিকেল লিখতে ভালো লাগে, আর সেই ভালো লাগা থেকেই আমার এই পারসোনাল ওয়েবসাইট। আমার আর্টিকেল গুলো আপনাদের ভালো লাগলে অন্যদের সাথে শেয়ার করে জানিয়ে দিতে ভুলবেন না। নিজেকে নিয়ে আর বলার কিছু নেই। আমার সাথে কানেক্ট থাকতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ!

Leave a Reply